ফরিদপুরের সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল বাশারের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয় চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। পরে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়াসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বক্তব্য দেন। তারা বলেন, “স্যার বিদ্যালয়ে ভর্তি ফি ১৫০০ টাকা হলেও কারও কারও কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। সম্প্রীতি আমরা জানতে পেরেছি স্কুল ফান্ডের লাখ লাখ টাকা মেরে দিয়েছেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তার ছেলেকে দিয়ে আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছেন। আমরা অবিলম্বে স্যারের পদত্যাগ চাই এবং তার ছেলে আমাদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে তার বিচারের জোর দাবি জানাই।”
অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল বাশার জানান, “ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার কাছে কোনো লিখিত কিংবা মৌখিক কোনো দাবি-দাওয়া শিক্ষার্থীরা জানায়নি। এ ছাড়া ভর্তিতে ১৫০০ টাকার পরিবর্তে ৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগও সঠিক নয়। কারণ টাকা নেওয়ার সময় রশিদ দেওয়া হয়।”
এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বালী বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের খবর শুনে আমি তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ে যাই। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ক্লাসে ফেরানো হয়েছে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
