বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বেদিতে ফুল দিতে গিয়ে শিক্ষার্থী ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে পিরোজপুর শহরের নীরব হোটেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে পিরোজপুর শহরের বলেশ্বর নদীর পাড়ে শহীদ বেদিতে ব্যানার সহকারে ফুল দিতে যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ব্যানারটি সরিয়ে ফেলতে বলে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যানারটি সরিয়ে ফেলে। এরপর ফুল দেওয়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুসা খানসহ শিক্ষার্থীরা শহরের নীরব হোটেলে নাস্তা করার সময় শ্রমিক দলের ১৫-২০ জন তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় হাতাহাতিতে প্রক্টরসহ উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হন। পরবর্তীতে আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে দুই শিক্ষার্থী ও শ্রমিক দলের দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তারা থানায় মামলা করবেন।
এ বিষয়ে জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন টিপু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের নাম দেখে নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হন।”
পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের জানান, এ ঘটনায় মামলা করা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।