ফেনীতে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল হকের বিরুদ্ধে। গত বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যার দিকে হাসপাতাল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যার দিকে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্র প্রাইভেট পড়ে বাসার দিকে যাওয়ার সময় পূর্ব পরিচিত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল হকের ব্যক্তিগত চেম্বারে যান। সেখানে ডা. ফরিদুল হক তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে পরে হাসপাতালের অফিস কক্ষের ভেতরে নিয়ে যান। আনুমানিক ২০ মিনিট পরে কক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থী চিৎকার দিয়ে বের হয়ে যান। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি আশপাশে জানাজানি হলে হাসপাতালের মূল ফটকের সামনের একটি ফার্মাসিতে বৈঠক করে রফাদফা করা হয়।
এ ঘটনায় রোববার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. হারুন-অর-রশীদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে অভিযুক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল হককে বদলি করা হয়েছে।
বদলির আদেশে বিতর্কিত এ চিকিৎসককে খুলনার বাগেরহাট মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের জুনিয়র লেকচারার হিসেবে যোগদান করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কুমিল্লার চান্দিনা মহিচাইল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ মাসুদুল হাসানকে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল হক বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ মিথ্যা। একটি গোষ্ঠী আমাকে সরানোর জন্য এই ষড়যন্ত্র করেছে। এখন তারা সফলও হয়েছে।”
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনেছি। এ ঘটনায় কেউ লিখিত বা মৌখিকভাবে অভিযোগও দেয়নি। আজকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ওই চিকিৎসকের বদলির আদেশের কথা জেনেছি।”
এ ব্যাপারে পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, “ঘটনা জানতে পেরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নিয়েছি। তবে এ বিষয়ে কেউ বিস্তারিত জানাতে পারেনি। এ ছাড়া এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।”