সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে হামলা, লুটপাট, চাঁদাবাজির ঘটনায় বিএনপির কোনো নোতকর্মী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান কিরন।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ছাত্র গণঅভ্যুথানে শহীদ ছাত্রদের স্বজনদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুর রহমান কিরন বলেন, “যে মা তার সন্তান হারিয়েছে, সে বোঝে সন্তান হারানোর বেদনা কী? সে মায়ের বেদনা, কষ্ট আমরা নষ্ট হতে দেব না। ছাত্র গণঅভ্যুথানে এদেশের মানুষ এখন আলো বাতাস গ্রহণ করতে পারছে। এই শহীদদের রক্তের সঙ্গে কাউকে বেইমানি করতে দেব না।”
কিরন বলেন, “নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য কেউ যদি কারো বাড়ি লুট করেন, হিন্দু পরিবারের ওপর হামলা করেন, জুলুম-নির্যাতন করে জায়গা-জমি দখল করেন, হাট-বাজার দখল করেন, চাঁদাবাজি করেন তাহলে আমি শফিকুর রহমান কিরনসহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার এ কে এম নাসির উদ্দিন কালু তা প্রতিহত করব। এই শরীয়তপুরের মাটিতে এসব চলবে না। এসব আমরা দুইজন সহ্য করব না। এই মেসেজ আপনারা সমস্ত শরীয়তপুরে পৌঁছে দেবেন।”
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশ, এসব ঘটনায় যদি বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত থাকে তবে, তাদের সমস্ত সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাবেক এই সাংসদ আরও বলেন, “শুনেছি আওয়ামী লীগের কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির স্লোগান দিয়ে হামলার পরিকল্পনা করছে। তাদের সাবধান করে দিতে চাই, যেখানে ছিলেন সেখানে থাকেন। কোনো অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দেব না। আপনারা যারা চাঁদাবাজির স্বপ্ন দেখছেন, সাবধান করে দিতে চাই। শরীয়তপুরের মাটিতে চাঁদাবাজের জায়গা নেই।”
ছাত্র গণ-অভ্যুথানে শরীয়তপুরের যারা শহীদ হয়েছেন, তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এর মধ্যে আজ শনিবার সকালে জুনায়েদের বাড়িতে তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে নগদ ৫০ হাজার টাকা সহযোগিতা করেছি। জুনায়েদের মা আমাদেরকে জানিয়েছে, প্রতি মাসে জুনায়েদ সংসার খরচের জন্য ১৫ হাজার টাকা বাড়িতে পাঠাত। আমি জুনায়েদের মাকে জানিয়েছি, প্রতি মাসে আপনাদের একাউন্টে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এভাবে শরীয়তপুরের সকল শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।”