কুমিল্লার দেবিদ্বারে একই স্থানে ১৬টি নতুন কবর দেখে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কবরগুলোতে কাদের দাফন করা হয়েছে, কীভাবে মারা গেছেন, জানাজা কোথায় হয়েছে এবং কারা কবর দিয়েছেন কিছুই জানেন না স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
দেবিদ্বার পৌর সদরের প্রাণকেন্দ্রের নিউমার্কেটের মোল্লা বাড়ির পুকুর পাড়ের গোরস্থানের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (২৭ আগস্ট) এ ঘটনায় অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক তদন্ত কমিটি গঠন করেন ইউএনও।
নিউ মার্কেটের প্রবীণ ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেন, “আমি প্রায় ৪০ বছর আগে দেবিদ্বার নিউ মার্কেট মোল্লা বাড়ির পুকুর পাড়ে বাঁশঝাড়ের জমি কিনে মার্কেট তৈরি করে ব্যবসা করছি। আমার মার্কেটের পাশে হঠাৎ এতগুলো নতুন কবর দেখে শঙ্কিত হয়ে পড়ি। কারা মারা গেলেন, কারা কবর দিলেন? জানাজা, মৃত্যুর বিষয়ে প্রচারের সংবাদও পাইনি।”
দেবিদ্বার মোল্লা বাড়ির রমিজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, “আমার পূর্ব-পুরুষদের কবরস্থান যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তির ওপর নির্দিষ্ট করা রয়েছে। গোরস্থানের পাশে আমার প্রায় দুই শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমি আর এস, সিএস-এ পুকুরপাড় উল্লেখ রয়েছে। এ জমির ওপরে থাকা বাঁশঝাড়টি প্রায় ৫০ বছর আগে কেটে পরিষ্কার করে রেখেছি। তাছাড়া এখানে আগে কোনো কবর ছিল না। এরই মধ্যে কে বা কারা আমার জমিতে সীমানা প্রাচীর ভেঙে ওই জমিতে সারিবদ্ধভাবে ১৬টি নতুন কবর তৈরি করে রেখেছে।”
তিনি বলেন, “আমার বয়স ৬৫। গোরস্তানের বাইরে আমার জমিতে কাউকে কবর দিতে দেখিনি। বাড়ির মুরুব্বিরাও দেখেননি। নতুন কবর ও কবরের ভেতরের মানুষগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছি।”
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ কবরের রহস্য উদঘাটনে ইউএনও তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।“
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, “বিষয়টা স্পর্শকাতর, তাই অ্যাসিল্যান্ডকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে দ্রুত তদন্তের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই কবর সঠিক নাকি গায়েবি কবর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।”