সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাজারো দ্বীপবাসীর অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
এসময় বিক্ষোভকারীরা সরকারি এই সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী উল্লেখ করেন। তারা দ্বীপের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন এবং ‘দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত সীমিত করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত মানি না, এই সিদ্ধান্ত আমাদের পেটে লাথি মারার মতো’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন।
মিছিলে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাতযাপন নিষিদ্ধ ও ভ্রমণ সীমিত করা হলে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সরাসরি জড়িত তিন লাখের বেশি মানুষের জীবন-জীবিকা ক্ষতির মুখে পড়বে।
সেন্টমার্টিনে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের অভিযোগ, সেন্টমার্টিনে সারা বছর কোনো পর্যটক আসতে পারেন না। মাত্র তিন মাস ব্যবসা করে পুরো দ্বীপের বাসিন্দারা জীবন চালান। রাতযাপন ও ভ্রমণ সীমিত করলে দ্বীপের মানুষ কী খাবে? উপায় না পেয়ে আজ মাঠে নেমেছি।
তবে দ্বীপের বাসিন্দারা সেন্টমার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে পর্যটক যাতায়াত অব্যাহত রাখতে সুপরিকল্পিত সংস্কারের দাবিও জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপ প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, “সেন্টমার্টিনে চার মাস পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে নভেম্বরে পর্যটকরা যেতে পারলেও রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। আর ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে যেতে পারবেন, থাকতেও পারবেন। তবে এসময় দিনে দুই হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে যেতে পারবেন না। আর ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন না।”
দ্বীপ পরিবেশবান্ধব করার জন্য এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া, সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ (একবার ব্যবহারযোগ্য) প্লাস্টিক নিষিদ্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।