ভোলার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ৮ দিন পর ছেলে পারভেজ সরদারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে মেঘনা নদীর ইলিশা পয়েন্টের ফেরিঘাট সংলগ্ন থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পারভেজের বাবা আব্দুল রাজ্জাক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
ইলিশা নৌ-থানার পরিদর্শক বিদ্যুৎ বড়ুয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুর ১টার দিকে মেঘনা নদীর ইলিশা পয়েন্টের ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখে স্থানীয়রা কোস্টগার্ডকে খবর দেন। পরে কোস্টগার্ডের সদস্যরা এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান বিদ্যুৎ বড়ুয়া।
এর আগে রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মালবাহী একটি ট্রলার ইলিশার জোরখাল পয়েন্টে গিয়ে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ট্রলারে ভাঙ্গারি মালামালসহ সাতজন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন বাবা-ছেলে। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় পাঁচজন শ্রমিক সাঁতরে জেলেদের ট্রলারের সহায়তায় উপরে উঠে আসতে পারলেও আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ট্রলারে থাকা সাত শ্রমিক বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ট্রলারটির মালিক ছিলেন- ফারুক মাঝি। ফারুক মাঝি ভাঙ্গারি মালামালের ব্যবসা করেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে নদী পথে ট্রলারের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন করেন। ডুবে যাওয়ার সময় তার ট্রলারে প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল ছিল।
ঘটনার পরদিন সোমবার সকাল থেকে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর যৌথ ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা উদ্ধার অভিযান চালান। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া যায়। তবে ট্রলারে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।