শরীয়তপুরের সখিপুর থানার নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করছিলেন একদল শ্রমিক। এসময় একের পর এক বেরিয়ে আসে বিশালাকৃতির ভয়ঙ্কর সাপ। সাপগুলো গ্রিল বেয়ে ভবনের ওপরে উঠতে গেলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে থানা পুলিশসহ শ্রমিকদের মধ্যে।
এ ঘটনায় সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সাপ ধরতে সাপুড়ে ডেনে এনেছেন সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।
পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, রোববার (২৪ মার্চ) সখিপুর থানার নতুন ভবন নির্মাণের জন্য স্কাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করা হয়। এসময় একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ। সাপগুলো থানার আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে স্থান থেকে সাপ বেরিয়ে এসেছে, সেখানে কাজ বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা। পরে সোমবার সাপুড়ে এসে থানার বিভিন্ন স্থানে কার্বনিক এসিড ছিটিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি থানা চত্বর থেকে এখনো কোনো সাপ ধরতে পারেননি।
সাপ ধরতে আসা সাপুড়ে মিনু ঢালী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “থানা চত্বরে সাপ দেখে আমাকে খবর দেওয়া হয়েছে। ভিডিওতে দেখেছি এখানে বড় বড় অনেক সাপ রয়েছে। তবে আমি আসার পরে কোনো সাপ দেখতে পাইনি। সখিপুর চরাঞ্চল এলাকা হওয়ায় এখানে প্রায়ই সাপ দেখা যায়। আমি এর আগে সখিপুর থেকে রাসেল ভাইপার সাপ ধরে প্রাণি সম্পদ অফিসারের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলাম। থানা চত্বরে কার্বনিক এসিড ছিটিয়ে দিয়েছি। আশা করছি সব সাপ চলে যাবে। সাপ ধরার চেষ্টা করছি।”
নতুন ভবন নির্মাণ কাজের শ্রমিক দেলোয়ার হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “গতকাল মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করলে একের পর এক সাপ বেড়িয়ে আসে। সাপগুলো ৬ ফুট থেকে ১০ ফুট লম্বা। সাপগুলো পালানোর জন্য আবাসিক ভবনসহ অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে যায় সবাই। যে স্থান থেকে সাপ বেরিয়ে এসেছিল, ওই স্থানের কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। দেখি সাপুড়ে কী করে।”
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, “থানার নতুন ভবনের কাজ করতে গেলে গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে আসে। এরপর সাপুড়ে ডেকেছি। কার্বনিক এসিড ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাপুড়ে এখনো কোনো সাপ ধরতে পেড়েছে কিনা, সেটা বলতে পারব না।”