• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কম দামে তরমুজ পেয়ে ক্রেতাদের মুখে হাসি


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৪, ০৮:২৬ পিএম
কম দামে তরমুজ পেয়ে ক্রেতাদের মুখে হাসি
তরমুজ। ছবি : প্রতিনিধি

ফরিদপুরে মাত্র ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। স্বল্পমূল্যে তরমুজ পেয়ে ক্রেতারাও খুশি হয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে ফরিদপুরে স্বল্প আয়ের মানুষ এভাবে সস্তায় তরমুজ কিনতে পেরে বেশ খুশি।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে সস্তায় এই তরমুজ কিনতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়।

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। সেখানে পাঁচ কেজি ওজনের বড় তরমুজ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট থেকে বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়।

যেখানে দেশের ব্যবসায়ীরা রমজান এলে সব মানবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। মুনাফা হাঁকেন যে যার মতো করে। সেখানে নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের কাছে সস্তায় এভাবে তরমুজ বিক্রি করছেন ডা. নাহিদ-উল-হক নামে স্থানীয় এক চিকিৎসক।

সাধারণ ক্রেতারা বলেন, “বাজারে বড় একটি তরমুজ ৩০০-৫০০ টাকারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সেগুলো এখানে ২০০ টাকায় পাচ্ছি। আবার একটু ছোটগুলো নিলে ১০০-১৫০ টাকায় কেনা যাচ্ছে।”

এ সময় ডা. নাহিদ-উল-হকের পক্ষে তরমুজ বিক্রি করা মো. মানিক শেখ, সাগর আহমেদ ও নাজমুল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, “রমজানে তরমুজের খুব চাহিদা। প্রতিদিন ৭০০ থেকে এক হাজার তরমুজ বিক্রি করছি। মানুষ স্বল্প মূল্যে তরমুজ কিনতে পেরে খুব খুশি।”

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হরমোন ও অ্যান্ড্রক্রোলজিস্ট ডা. নাহিদ-উল-হক বলেন, “ফরিদপুরবাসী তথা সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকেই ‘থ্রি জেড ক্রিয়েটিভ মিডিয়া’র পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রমজানে তরমুজের ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানদের মাঝে আবেদন রয়েছে। কিন্তু উচ্চমূল্যের কারণে তারা এতো দাম দিয়ে এই তরমুজ কিনে খেতে পারেন না। তাদের জন্যই এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগ পুরো রমজানে অব্যাহত থাকবে।”

Link copied!