ঈদুল আজহা যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে সব ধরণের যানবাহনের চাপ বাড়ছে। যার কারণে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি ও যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেনের কাজ, চালকদের এলোমেলো গাড়ি চালানো কারণে ঈদের ছুটির আগেই প্রতিনিদিনই যানবাহনের চাপ বাড়ছে। ফলে এই অংশের কোথাও কোথাও থেমে থেমে যানজট, ধারগতি বা কখনো কখনো যানজটের কবল থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় চালকদের।
বুধবার (১২ জুন) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কের এলেঙ্গা, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশন ও সেতু পূর্ব টোল প্লাজা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কের ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুরে প্রায় দিনভর থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি ও যানবাহন চলাচলে ধীরগতি ছিল। পরে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টাপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ জুন) মধ্যরাত থেকে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাড় থেকে যানজট শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে যানজট গিয়ে পৌঁছায় টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়কে। তবে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনগুলো সেতু পার হয়ে ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করায় সকাল থেকে কমতে থাকে যানজট।
রংপুর থেকে ছেড়ে আসা কোরবানি পশুবাহী ট্রাকের চালক ইদ্রিস আলী বলেন, “কয়েক দিন ধরে রংপুর থেকে কোরবানি পশু নিয়ে ঢাকার গাবতলী যাচ্ছি। কিন্তু সেতু পার হয়ে এলেঙ্গা সড়কে প্রতিদিনই যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে। এতে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যস্থলে পোঁছতে পারছি না। এখানেই দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে থাকতে হয়।”
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, “গত সোমবার (১০ জুন) রাত ১২ টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত একদিনে অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু উভয় টোল দিয়ে সেতুতে ২৮ হাজার ৪০১টি যানবাহন পারাপার করে এবং এর বিপরীতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার ২৫০ টাকা।”
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর সাজেদুর রহমান জানান, ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত গাড়ির অতিরিক্ত চাপ ও ধীরগতি ছিল। এছাড়া এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু পর্যন্ত মহাসড়কে চার লেনের কাজ ও সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে এমন যানজট সৃষ্টি হয়। তবে দুপুরের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।