নিখোঁজের ১৯ মাস পর পোল্ট্রি ফার্মের বর্জ্যের ময়লার স্তুপ থেকে শ্রমিকরা উদ্ধার করে একটি কঙ্কাল। পরে কঙ্কালের সঙ্গে থাকা ব্রেসলেট দেখে স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করেন স্ত্রী জেসমিন বেগম। তবে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মনিষ বাবুর বাড়ির পাশের বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানায়, সকালে বিষ্ণুপুর গ্রামের মনীষ বাবুর বাড়ির পাশে বাগানের পোল্ট্রি ফার্মের বর্জ্যের ময়লার স্তুপের মধ্যে একটি মাথার খুলি দেখতে পায় তারা। বিষয়টি পাশে থাকা ধানকাটা শ্রমিকদের জানালে তারা এসে খড় সরিয়ে মানুষের কঙ্কাল দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। তিনি ঘটনা স্থলে এসে পরে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ইদ্রিস আলী, উপ-পরিদর্শক শিহাব হোসেন, উপ-পরিদর্শক নকিব পান্নু ঘটনা স্থলে এসে কঙ্কালটি উদ্ধার করে। ওই সময় লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে নিখোঁজ ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় কঙ্কালের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া হাতের ব্রেসলেট দেখে লাশটি তার স্বামীর বলে শনাক্ত করে জেসমিন বেগম।
পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত ইদ্রিস আলী জানান, মনোহরপুর গ্রামের জামাত আলীর ছেলে দিন মজুর ভাটা শ্রমিক এবং চাচাই গ্রামের রাশেদ গাজীর ছেলে চা বিক্রেতা ভাটা শ্রমিক নাজমুল হোসেন ওরফে শিমুল এক সঙ্গে দুই বন্ধু বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করাসহ মাছ ধরে জীবিকানির্বাহ করত। হঠাৎ করে ইসমাইল হোসেন নিখোঁজ হওয়ায় তার স্ত্রী জেসমিন বেগম কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর থেকে তার স্বামীকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের দেখানো কঙ্কাল থেকে মেলে স্বামীর সন্ধান।
উপপরিদর্শক (এসআই) নকিব পাননু জানান, এ ব্যাপারে নাজমুল হোসেন নামে তার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে দুপুরে পিবিআই, সিআইডি, ডিবি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।