ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধার ফিটনেস ছিল না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, “ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা।”
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে পাটুরিয়া ঘাটে ফেরিডুবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তফা কামাল বলেন, “রজনীগন্ধা ফেরিটি গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ফিটনেস ছিল। মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত শেষে দুর্ঘটনার কারণ বলা যাবে।”
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে রজনীগন্ধা ফেরি ডুবে যাওয়ার খবর পান তারা। এরপর আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিট সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রজনীগন্ধা ফেরি ৯টি গাড়ি নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে ফেরিটি মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয় ফেরিটি। পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে এসে বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যায়।