কঠোর নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত। এতে অংশ নেন ৫ লাখের বেশি মুসল্লি। সকাল থেকেই মুসল্লিদের জনস্রোতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার মাঠ। মাঠের ভেতরের কাতার উপচে বাইরেও কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঈদগাহ ময়দান। এটি ছিল এই ঈদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের ১৯৭তম জামাত।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় জামাত শুরু হয়। ইমামতি করেন বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।
বিশাল এ মাঠে নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নামাজ শুরুর সংকেত হিসেবে গুলি ছুড়ে আওয়াজ করা হয়। দীর্ঘদিনের রেওয়াজ অনুযায়ী ঈদের জামাত শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে তিনটি, তিন মিনিট আগে দুটি এবং এক মিনিট আগে একটি করে শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়। আর এ গুলিগুলো ছোড়েন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার।
জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের একদিন আগেই চলে এসেছেন অনেক মুসল্লি। ঈদের দিন ভোর থেকেও রিজার্ভ বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে আসেন হাজারো মুসল্লি। নামাজ শুরুর এক ঘণ্টা আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান।
নামাজকে কেন্দ্র করে ঈদগাহ ময়দানে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। চারটি স্তরই পেরিয়ে মুসল্লিরা মায়দানের ভেতরে প্রবেশ করেন। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে ৩৪টি চেকপোস্ট। সাদা পোশাকেও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে রয়েছে চারটি ড্রোন। ঈদগাসহ আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণে বসানো হয়েছে ৬৪টি সিসি ক্যামেরা। ঈদগায় রয়েছে পুলিশ ও র্যাবের ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার। রয়েছে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল।