চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে সারবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে সাতজনকে হত্যার উদ্দেশ্য ডাকাতি নয়। এ ঘটনার পেছনে অন্য ‘রহস্য’ আছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ঘটনার পর সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরিদর্শন শেষে তারা জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিত। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, সিআইডি ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, নৌপথে অস্থিরতা তৈরি করতেই এ হত্যাকাণ্ড।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, “আটজন নয়, সেখানে আমরা ৯ জন থাকার খবর পাচ্ছি। এরই মধ্যে আমাদের কাছে আরও তথ্য আসছে। এটা প্রথম দিকে ডাকাতি মনে হলেও এখন এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ধরেই আমরা এগুচ্ছি। নৌপথে অস্থিরতা তৈরি করতেই এমনটি করা হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছি।”
এর আগে চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের পশ্চিমে মেঘনা নদীর পাড়ে মাঝিরচর এলাকায় একটি জাহাজ থেকে সোমবার বিকেল ৩টার দিকে পাঁচজনের মরদেহ এবং তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে আরও ২ জন মারা যান।
নিহতরা হলেন, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল, রানা, সবুজ, নিঃস্বার্থ। তাদের বাড়ি নড়াইল ও ফরিদপুর জেলায়। এ ছাড়া গুরুতর আহত ব্যক্তির নাম জুয়েল।
এদিকে বেঁচে থাকা একজন হাসপাতালে নেওয়ার পর কাগজে লেখেন তার নাম জুয়েল। গলা আংশিক কাটা থাকায় তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।