শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নয় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পঞ্চগড় স্টেডিয়াম মাঠে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, “বাংলাদেশে কোথাও কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়নি। আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার রাজনীতির কূটকৌশল ছিল সংখ্যালঘুদের রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনি হয়ে ছোবল মারত আর দিনের আলোতে ওঝা হয়ে ঝাড়তে আসত। এটা ছিল শেখ হাসিনার কৌশল। এখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় না। বাংলাদেশের আলেম সমাজ, ইমাম সমাজ এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতা আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া।”
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা এই নেত্রীকে নিয়ে গর্ব করেছিলেন। এই নেত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে বলেছিলেন শেখ হাসিনা পালায় না। শেখ হাসিনা একবার চিন্তা করে নাই ৭০ বছরের সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর কী হবে। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নয় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়েছে। সে বলেছিল ৭৫ সালে যখন আমার বাপকে খুন করেছিল এই নেতাকর্মীরা কোথায় ছিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বাঁশ দেয়নি, আপনাদেরকেও বাঁশ দিয়েছে। যদি ভালো মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে সর্বপ্রথম শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার করার ব্যবস্থা করেন। আওয়ামী লীগের নাম ধুয়ে মুছে ফেলেন। নতুন নাম নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসেন এরপরে গণতবা করেন।“
মামুনুল হক আরও বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে ধসিয়ে দিয়ে এই স্বাধীন দেশ ও জাতিকে একটি পরাধীন পরনির্ভরশীল জাতি হিসেবে গড়তে চেয়েছিল। মেগা মেগা প্রকল্পের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা মেগা দুর্নীতি করে বাংলাদেশকে শেষ করে দিয়েছে এই শেখ হাসিনা। এই শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে চুষে খেয়ে ষোলটি লাগেজ নিয়ে সর্বশেষ যা ছিল তা নিয়ে নিজের বোনকেসহ হেলিকপ্টারে করে নরেন্দ্র মোদির ঘরে গিয়ে পৌঁছেছে।”
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পুলিশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনী, আওয়ামী লীগের দলীয় বাহিনী নয়। বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগকে শেখ হাসিনা দলীয়করণ করেছিল। শেখ হাসিনার দলীয়করণের জন্য আজকের পুলিশের মনোবল ভেঙে খানখান হয়েছে। এর দায় শেখ হাসিনার, এর দায় আওয়ামী লীগের। এখান থেকে পুলিশ বাহিনীকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে।”
খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মীর মোর্শেদ তুহিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।