মায়ের আর্তনাদে আটকে গেল শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম
মায়ের আর্তনাদে আটকে গেল শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মায়ের বাধায় কবর থেকে উত্তোলন করা যায়নি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আরাফাতের মরদেহ।

আদালতের নির্দেশে দাফনের ছয় মাস পর বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ছোট বনগ্রামে কবর থেকে শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন করতে যান ম্যাজিস্ট্রেট, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ প্রসাশনের সদস্যরা।

পরে আরাফাতের মায়ের বাধায় মরদেহ উত্তোলন না করে, কবর জিয়ারত করে ফিরে যান তারা। এ ঘটনায় শহীদের পরিবার ও স্থানীয়দের প্রশংসায় ভাসছেন কর্তব্যরত প্রসাশনের কর্মকর্তারা।

গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রবির বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (পিবিআই) কুদরত ই খুদা, মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল, ইন্সপেক্টর (পিবিআই) গোবিন্দ লাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রবির বিশ্বাস বলেন, “আদালতের নির্দেশে পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, মুকসুদপুর থানার ওসি এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন করতে গেলে তার মায়ের আর্তনাদে আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরে শহীদ আরাফাতের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।”

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন আরাফাত। তার বাবা স্বপন মুন্সি পেশায় দিনমজুর। মা মায়া বেগম কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়। তারা ঢাকার আশুলিয়ায় থাকেন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত সেখানেই বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ত।

Link copied!