পাবনায় নারী রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিক কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে পাবনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামাল হোসেন আসামীদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে পাবনা সদর থানার পাশে অবস্থিত নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পাবনা শহরের শালগাড়িয়া ইংলিশ রোডের মৃত ফরমান আলীর ছেলে জীবন আলী এবং ক্লিনিকের চিকিৎসক শহরের শালগাড়িয়ার মৃত সুবোদ কুমার সরকারের ছেলে ডা. সোভন কুমার সরকার।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জুলফিকার হায়দার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জুলফিকার জানান, দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়েছিল। এ সময় জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামুঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য যান। ওই নারীকে নির্ধারিত কক্ষে নিয়ে নারী সহকারীকে দিয়ে তলপেটে জেল মেখে প্রস্তুত করা হয়। এ সময় কৌশলে ওই নারী সহকারীকে বাইরে পাঠিয়ে রোগীর আপত্তিকর জায়গায় স্পর্শ করে অশ্লিল কথাবার্তা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে রোগী বাইরে এসে বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় রোগী ও তার স্বামীকে বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের আশ্রয় নেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, দুজনকে আটকের পর ওই নারীর স্বামী থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেছেন। ওই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।