জামালপুরের তুলশীপুরে কলেজছাত্র লিটন হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া হত্যার আলামত নষ্টের দায়ে তাদের আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জামালপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এহসানুল হক এই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- রশিদপুরের রামদেববাড়ি গ্রামের মজিবর রহমান, মিজান, সোহেল, সুমন, লাভলু, হেলাল উদ্দিন ও মো. মিজান। এদের মধ্যে মজিবর রহমান পলাতক। বাকিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “জামালপুর সদর উপজেলার রামদেববাড়ি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে কলেজছাত্র লিটন ২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে চাচার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর ১৪ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে গোপীনাথপুরে লিটনের পুড়ে যাওয়া মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় লিটনের বাবা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। স্থানীয় একটি সমিতির টাকা লেনদেন নিয়ে শত্রুতার জের ধরে লিটনকে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ আংশিক পুড়িয়ে ফেলা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে এ হত্যায় সাতজনের সম্পৃক্ততা পায়। পরে তাদের নামে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।