পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচলে লেকের পাড় থেকে উদ্ধার করা সাত টুকরা মরদেহের পরিচয় মিলেছে। পুলিশ বলছে, মরদেহটি শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুমের (৫৯)। চাঁদ ডায়িং ফ্যাক্টরিসহ তাঁর অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। জসিম উদ্দিন একাধিকবার সেরা করদাতা হিসেবে কর বাহাদুর পুরস্কারও পেয়েছেন।
পুলিশের ধারণা, গত ১০ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ থাকা জসিম উদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বৃহস্পতিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ পূর্বাচল উপশহরের কুড়িল-কাঞ্চন সড়কের উত্তর পাশে ৫ নম্বর সেক্টর থেকে তিনটি পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহের খণ্ডাংশগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করা পরিবারের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তা শনাক্ত করেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ নভেম্বর বিকেলে বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গুলশান যান জসিম উদ্দিন। এরপর গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন, অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরায় ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পরদিন গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বড় ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার এসআই রোকন উজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্তের কাজ চলছে। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন।
ওসি লিয়াকত আলী বলেন, ওই ব্যক্তিকে অন্তত তিন দিন আগে মারা হয়েছে বলে ধারণা করছি। হত্যার পর তার দেহের বিভিন্ন অংশ কেটে টুকরা করে পলিথিন ব্যাগে ভরে লেকে ফেলে দেওয়া হয়। তার শরীরের দুটি অংশ এখনো পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।