• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিব নদীর পাড়ে হাঁস পালনে স্বাবলম্বী তারেক


নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ০২:২১ পিএম
শিব নদীর পাড়ে হাঁস পালনে স্বাবলম্বী তারেক

হাঁস পালন একটি লাভজনক পেশা। হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার তারেক হোসেন নামে এক যুবক। ৩ বছর আগে ৩০০ হাঁস দিয়ে খামার শুরু করলেও তিনি তিন বছরে ৫ হাজারেরও বেশি হাঁস বিক্রি করেছেন। বর্তমানে তার খামারে ১ হাজার হাঁস রয়েছে, সেই হাঁসগুলো অল্প দিনের মধ্যেই ডিম দেবে। শিব নদীর ধারে তার এই খামার দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অনেকেই। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে নানান পরামর্শ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নওগাঁ মান্দা উপজেলার শিব নদীর পাড়ে ফারুক গড়ে তুলেছেন এ হাঁসের খামার। দল বেঁধে চলছে হাঁসের দল। প্রতিটি হাঁসের বাচ্চা ৩০ টাকা দরে কিনেছেন বলে জানান তিনি। প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে ৩০০ হাঁসের মাধ্যমে খামার তৈরি করলেও তিন বছরে তিনি ৫ হাজারেরও বেশি হাঁস বিক্রি করেছেন। নদীর বুকে সারা দিন হাঁসগুলো খাবার খেয়ে থাকে। বর্তমানে তার খামারে ক্যাম্বেল জাতের হাঁসও রয়েছে।

হাঁসগুলোকে সন্ধ্যার পর শুধু ৩০ কেজি গম দিতে হয়। দেখা যায়, ফারুক হাঁসগুলোকে ডাকা মাত্রই ছুটে আসে তার কাছে। সারা দিন হাঁসগুলো এখানে প্রাকৃতিক খাবার খায়। সন্ধ্যায় সেগুলোকে শুকনো স্থানে রেখে পরিচর্যা শেষে পুনরায় সকালে নদীতে উন্মুক্ত করা হয়। এক জায়গায় স্থির না রেখে পানি ও প্রাকৃতিক খাবারের প্রাপ্যতানুসারে স্থানান্তর করা হয় হাঁসগুলোকে। ভ্রাম্যমাণ খামারটি একদিকে বদলে দিয়েছে তার ভাগ্য, অন্যদিকে ওই এলাকাবাসী পেয়েছে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রেরণা। হাঁস পালন সম্পর্কে নানা পরামর্শ নিতে আসছেন অনেকেই। তার খামারে কাজ করে সংসার পরিচালনা করছেন অনেক পরিবার।

এ বিষয়ে মান্দার হাঁস খামারি তারেক হোসেন বলেন, ছোট পরিসরে প্রায় তিন বছর ধরেই শিব নদীর তীরে হাঁস পালন করছেন তিনি। তার খামারে ক্যাম্বেল জাতের হাঁস রয়েছে। সরকার থেকে সহযোগিতা করলে তিনি হাঁসের একটি বড় হ্যাচারি তৈরি করবেন। তার খামারের হাঁসগুলো অল্পদিনের মধ্যেই ডিম দেবে। সেই ডিম থেকে তিনি আবার বাচ্চা তৈরি করার চিন্তা করছেন।

মান্দা উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো.নুরুজ্জামান বলেন, “মান্দা পরানপুর শিব নদীতে ভ্রাম্যমাণ হাঁস পালনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তারেকের খামারটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। আমার প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে খামারিদের সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ভ্যাকসিন, চিকিৎসা ও পরামর্শ সেবা দিয়ে থাকি। এই উপজেলাতে প্রায় ৩৪টির মতো হাঁসের খামার রয়েছে। এই খামারগুলোতে বিভিন্ন জাতের হাঁস রয়েছে। হাঁসগুলো থেকে স্থানীয় মাংস এবং ডিমের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।”

Link copied!