চলমান শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় জয়পুরহাটের বন্ধ থাকা মাধ্যমিক বিদ্যলয়গুলো খুলেছে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান আরও একদিন বন্ধ থাকবে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খুলেছে।
এর আগে শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রথম দফায় ২১ ও ২২ জানুয়ারি জেলার ৩৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে দ্বিতীয় দফায় আবারও দুই দিন ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। তৃতীয় দফায় গত ২৫ জানুয়ারিও জেলার বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার জয়পুরহাটের পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রোববারও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকতে পারে। এ অবস্থায় রোববার জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া কার্যালয়ের টেলিপ্রিন্টার অপারেটর আরমান হোসেন বলেন, আজ বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। বদলগাছী ও জয়পুরহাট খুবই কাছাকাছি হওয়ায় এখানকার রেকর্ড জয়পুরহাটেও ধরা হয়ে থাকে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, শনিবারের আবহাওয়া ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি ছিল। রোববার এরকম আবহাওয়া থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। এজন্য আরও একদিন রোববার জেলার ৩৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমান উদ্দিন মণ্ডল বলেন, জেলার তাপমাত্রা শনিবারে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। তবে সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। এজন্য রোববার থেকে জেলার ১৫৬টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১১২টি মাদ্রাসাসহ মোট ২৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।