নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ঘরে চোর ঢুকে চুরি করতে দেখে চিৎকার করলে চোরেরা পিটিয়ে নারীসহ চারজনকে আহত করেছে। চোরেরা ওই বাড়ি থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল চুরি করে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। চোরেরা ওই বাড়ি থেকে টাকা এবং একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী মো. নূর ইসলাম ফকির বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহতরা হলেন মো. নুরুল ইসলাম ফকির, তার স্ত্রী হাওয়া বেগম, মেয়ে রেখা আক্তার ও রীমা আক্তার।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়, শুক্রবার ভোরের দিকে হাওয়া বেগম ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য অজু করতে ঘরের বাইরে বের হন। ওই ঘরে তখনো মেয়ে রেখা আক্তার ও রিমা আক্তার ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় কৌশলে চোরেরা ঘরে ঢুকে পড়ে। পরে ভোর ৫টার দিকে ঘরের ভেতরে শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায় রেখা ও রিমা আক্তারের। তখন তারা দেখতে পান যে ঘরের ভেতরে চোরেরা ঢুকেছে। এ সময় তারা ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে হাওয়া বেগম, বাড়ির অন্য ঘরে থাকা নুরুল ইসলাম, নূর আলম ছুটে গিয়ে চোরদের ধাওয়া দেন। এ সময় চোরেরাও বাড়ির লোকজনদের ওপর হামলা চালিয়ে পিটুনি দেয়। এতে চারজন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী মো. নূর ইসলাম ফকির বলেন, “আমি ও আমার ছেলে মো. নুর আলম বাড়ির বাংলা ঘরে ঘুমাই। ভোরে চিৎকার শুনে আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভেঙে যায়। ঘরে গিয়ে দেখি এলাকার চিহ্নিত চোরেরা আমার ঘরে রক্ষিত পাঁচ লাখ টাকা ভর্তি ব্যাগসহ একটি মোবাইল ফোন নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় আমরা বাধা দিলে চোরেরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের মারপিট করে দ্রুত পালিয়ে গেছে। আমরা তাদেরকে চিনতে পেরেছি। আমি বাদী হয়ে তাদের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার দুপুরে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফাসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।