শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তিনদিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঈদের দিন রাতের ঘটনায় শনিবার (১৩ এপ্রিল) মামলা হলে সেদিন রাতেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন সন্ধ্যায় নানাবাড়ি যাওয়ার পথে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে তিনদিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার তার বড় বোন বাদী হয়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে নড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দোদুল সরদার, তুষার মাঝি, শাকিব ও নাহিদ নামের চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বোন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। মানুষের বাড়িতে কাজ করে খাই। আমার ছোট বোনটারে ওরা নির্যাতন করল। আমি ওদের এমন বিচার চাই, যেন আর কারও ওপর এমন নির্যাতন না হয়।”
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ঈদের দিন নানা বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় দুদুল ও তুষার মাঝি আমাকে মুখ চেপে অটোরিকশায় করে সুরেশ্বর দরবার শরীফের পাশে একটি টিনের ঘরে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। তারা আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। শনিবার সকালে আরও তিনজন এসে আমাকে আবার ধর্ষণ করে। আমাকে যে ঘরে আটকে রাখা হয়, সেই ঘরের বাইরে পাহারায় লোক ছিল। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে দেয় তারা।”
এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, গত শনিবার ভুক্তভোগী কিশোরীর বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।