• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩০, ২১ রজব ১৪৪৬

পর্নোগ্রাফি মামলায় স্কুলছাত্রী গ্রেপ্তার, থানায় ভুক্তভোগীদের ভিড়


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৮:৫৮ এএম
পর্নোগ্রাফি মামলায় স্কুলছাত্রী গ্রেপ্তার, থানায় ভুক্তভোগীদের ভিড়
ছবি : সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শিক্ষিকা, ছাত্রীসহ নানাজনের ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও বানিয়ে বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপে পোস্ট করে টাকা দাবি করত এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) গ্রেপ্তার স্কুলশিক্ষার্থীকে আদালতে পাঠিয়েছে থানা-পুলিশ। এর আগে রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে পূর্ব ভূঞাপুর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তার ওই ছাত্রী উপজেলার বাসিন্দা। সে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী।

ওই স্কুলছাত্রীকে গ্রেপ্তারের খবরে থানায় হাজির হয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। এ সময় তারা ওই ছাত্রীসহ তার অভিভাবকদেরও শাস্তি দাবি করেন।

পুলিশ জানায়, উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, ছাত্রী ও ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার পর্নো ভিডিও তৈরি করে একাধিক মেসেঞ্জার গ্রুপ বানিয়ে সেখানে পোস্ট করা হয়। পরে পোস্ট করা ভিডিওর সঙ্গে মোবাইল নম্বর দিয়ে লাখ লাখ টাকা চাওয়া হয়। ‘দিলরুবা’ ও ‘রাকিবুল ইসলাম’ নামের আইডি থেকে এলাকার অনেকের আইডি যুক্ত করে মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করে। পরে সেই গ্রুপে পর্নো ভিডিও পোস্ট করা হয়। পরে ফেসবুক, গুগল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইডিগুলোর মালিক বা ব্যবহারকারী শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ভূঞাপুর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীর ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জব্দ করা ফোনে এসব পোস্ট ও ভিডিও’র ছড়ানোর সত্যতা পাওয়া যায়।

গ্রেপ্তার স্কুলছাত্রী বলে, “আমার ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও বানানো হয়েছে। সেই ভিডিও দিয়ে আমার পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। ঘটনার জড়িত মির্জাপুরের সিমান্ত ও গোপালপুরের সিফাতকে পুলিশ ডেকে এনেছিল। তারা স্বীকারও করেছে কিন্তু তারপরও তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের কাজের সাথে আমি জড়িত না সেটার প্রমাণ আমার কাছে আছে।”

গ্রেপ্তার স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, “আমার মেয়ের ছবি দিয়ে নগ্ন ভিডিও বানিয়ে টাকা দাবি করা হয়েছিল। যে নম্বরগুলো থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল তাদের পুলিশ ধরেছিল। তারা স্বীকারও করেছে এই ঘটনা। সে সময় মেয়ের মোবাইল চেক করে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফেরত দিলেও রোববার রাতে মেয়েকে থানায় নিয়ে যায়। পরে সোমবার পর্নোগ্রাফি মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এটার সাথে মেয়ে জড়িত না।”

ভূঞাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, জি-মেইল দিয়ে একাধিক ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছে ওই ছাত্রীর মোবাইল দিয়ে। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই কিছু বলতে চান না। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজন থানায় অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়। এতে গুগল, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে তদন্তে আইডি ব্যবহারকারীর পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পরই ওই ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Link copied!