জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টায় তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দার মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমি মাঠে জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় ইমামতি করেন নগরকান্দা মদিনাতুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক ইসমাতুল্লাহ কাসেমী।
নামাজে অংশ নেন কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
এর আগে সেনাবাহিনীর লাশবাহী একটি ভ্যানে তার মরদেহ নগরকান্দায় আনা হয়।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মারা যান।
উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে আগস্টের শেষের দিকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি।
সৈয়দা সাজেদা চৌধরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ছাড়াও পৃথক শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, চীফ হুইপ নুর-এ আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মিজা আজম, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়াসহ আরও অনেকে।
পৃথক শোক বার্তায় তারা মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি এক সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা হন।