কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবার গরু বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকা কেজি দরে। ঠিকই শুনছেন, মুঘল আমলের কথা বলা হচ্ছে না। অবিশ্বাস্য হলেও এই দামেই গরু বিক্রি রংপুর মহানগরীর মাহিগঞ্জের দেওয়ানটুলি এলাকার জমজম ক্যাটল ফার্ম নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
দাম-মানে নিশ্চয়তাসহ ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা দেওয়ায় খামারের প্রায় অর্ধেক গরু এরই মধ্যে বুকিং হয়েছে। বাকিগুলোও দ্রুত শেষ হবে।
জমজম ক্যাটল ফার্মের মালিক আব্দুল মতিন জানান, এ বছর কোরবানির জন্য ১২০টি গরু প্রস্তুত করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে ১১৪টি গরু বিক্রি হয়েছে খামার থেকে। তিনি বলেন, লাইভ ওয়েটের মাধ্যমে গরু বিক্রি করায় ভালো সাড়া মিলেছে। তিন বছর ধরে এই পদ্ধতিতেই গরু বিক্রি হচ্ছে। লাইভ ওয়েটে গরু বিক্রির নানা সুযোগ-সুবিধায় অল্প সময়ে জেলার শ্রেষ্ঠ খামারে স্থান পেয়েছে এই ক্যাটল ফার্মটি।
জমজম ক্যাটল ফার্ম গরুর পাশাপাশি এবার ক্যাটল ফার্মে দুম্বা ও গয়াল গরু প্রস্তুত করেছেন মতিন। ছয়টি দুম্বা দিয়ে পরীক্ষামূলক খামার শুরু করলে চলতি বছরে এটিও বড় আকারে রুপ দেওয়ার স্বপ্ন তার।
জমজম ক্যাটল ফার্মে এসে বাজেট ও পছন্দমতো গরু দেখে ক্রেতারা বুকিং দিয়ে যাচ্ছেন। এখন বুকিং করলেও ঈদের তিনদিন আগে ফাইনাল ওজনে মূল্য পরিশোধ করতে হবে, অন্যথায় বুকিং বাতিল হবে বলে জানিয়েছে ফার্মটি। জেলার বইরে থেকেও বহু ক্রেতা গরু বুকিং দিচ্ছেন।
জমজম ক্যাটেল ফার্মে এরই মধ্যে ছয় বেকার যুবকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। তারা গরুগুলোকে তিন বেলা খাওয়ানো, গোসলসহ সব ধরনের পরিচর্যা করছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা শ্রেণি-পেশার ক্রেতা সমাগমে খুশি তারা।
এদিকে, রংপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক জানান, জমজম ক্যাটল ফার্মের মতো জেলায় ২৫ হাজার খামারির ঘরে এবার কোরবানির জন্য ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৮৫টি পশু লালন পালন করা হয়েছে। যা জেলার চাহিদার চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি বলে দাবি তার।
রংপুর জেলায় এবার স্থায়ী অস্থায়ী ৫৯টি গরুর হাট বসলেও স্মার্ট ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওজনে বিক্রি করা কিংবা অনলাইন প্লাটফর্মের হোডেলিভারি সুবিধা দেওয়া খামারগুলোর দিকে।