গত মাস কয়েক ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপের আতঙ্ক। কয়েকটি জেলায় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাসেলস ভাইপার বাসা-বাড়িসহ ঢুকে পড়ছে বিভিন্ন অফিসে।
এরই মধ্যে সোমবার (১ জুলাই) রাজশাহীর চারঘাট মডেল থানা থেকে রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া সাপ) উদ্ধার করা হয়।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন জানান, সোমবার রাতে থানার ওয়াসরুমে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি রাসেলস ভাইপার সাপ ফোঁস করে ওঠে। পরে থানার অফিসার-ফোর্সদের সহযোগিতায় সাপটি মেরে ফেলা হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা কুঠিপাড়া, পিরোজপুর এলাকায় রাসেল ভাইপার দেখা দিলেও এই প্রথম চারঘাট থানা চত্বরে দেখা গেল। এতে অফিসার-ফোর্সদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে থানা চত্বরে কীটনাশক প্রয়োগ করে আগাছা পরিষ্কার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, থানাটি পদ্মা নদীর কাছাকাছি হওয়ায় সাপটি চলে আসছে। তিনি বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখার জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ৮৫ ভাগের বেশি সাপেরই বিষ নেই। এমনকি রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ বিষধর সাপের তালিকায় নয় নম্বরে রয়েছে। আর এখন আতঙ্কিত হয়ে মানুষ যেসব সাপগুলো মারছে তার বেশিরভাগই নির্বিষ ও পরিবেশের জন্য উপকারী।
প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপ জীববৈচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই অন্যান্য প্রাণীর মতই সাপও গুরুত্বপূর্ণ।