ফেনীতে দুদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণে ফেনী পৌর এলাকার বেশিরভাগ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ওই সব সড়কে বসবাসকারী বাসিন্দারা ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মূষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এদিন রাতে বৃষ্টি ও শুক্রবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিসহ ভারী বর্ষণ হওয়ায় ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়ক, মিজান রোড়, একাডেমি রোড়, শাহীন একাডেমি, রামপুর, তাকিয়া রোড়, আবু বক্কর সড়ক, শাহীন একাডেমি রোড়, ফেনী বড় বাজারে বিভিন্ন গলি, বারাহীপুর এলাকায় বিভিন্ন সড়ক, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি সড়ক, পাঠান বাড়ী রোড, একাডেমি রোড ও হাসপাতাল মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
অপরদিকে সড়কে চলাচলরত শতশত সিএনজিতে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে।
এ দিকে অতি বৃষ্টির কারনে ফেনী পৌরসভার কনজার্ভেটিভ অফিসার সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করেছে।
সরোয়ার আলম জানান, শুধুমাত্র ৩০জন পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মী শহরের বিভিন্ন খাল পরিস্কারের কাজ করছে। বাকি আরও ৩০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী শহরের বিভিন্ন ড্রেন পরিস্কারে কাজ করছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি নেমে যাওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চালু থাকবে জানান বলে তিনি।
ইসকর্ট ইমেজিং সেন্টার পরিচালক এম জহিরুল হক মিলন জানান, প্রতি বছর বৃষ্টিতে ফায়ার সার্ভিস থেকে স্টারলাইন কাউন্টার পর্যন্ত সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এ স্থানটিতে বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে। এ সকল হাসপাতালে রোগী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের ব্যবসায়ী মো. জয়নাল বলেন, “টানা এক ঘন্টা বৃষ্টি হলে শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়।
এ ছাড়াও টানা বৃষ্টিতে মরিচ পট্টি, মুড়ি পট্রি, সওদাগর পট্টি, খাজা আহমেদ সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এতে আমরা ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বসে থাকি পানি নেমে গেলে দোকান খুলি বর্ষা এলে আমাদের এ সকল দুঃখ দেখার কেউ থাকে না।”
ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, “আমাদের সকল কাউন্সিলবৃন্দের তত্ত্বাবধানে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করা যাচ্ছে। পৌরসভার নাগরিকরা পলিথিন থেকে শুরু করে সব ময়লা ড্রেনে ফেলার কারনে পানি প্রবাহে বাধা হচ্ছে। গতকাল থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় পানি নামতে সময় লাগছে বৃষ্টি কমলে দু-এক ঘন্টার ভিতর সকল পানি নেমে যাবে বলে আমি আশা করছি।”