সাভারে লোহার রড়ের পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ফজলু নামে এক রিকশাচালকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। এই নির্যাতনের প্রতিবাদে একটি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেছে রিকশাচালকরা।
শুত্রবার (১৭ মে) দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে রিকশাচালককে মারধরের ঘটনা ঘটে।
আহত রিকশাচালক দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার বাসনাপুর মহল্লার আবুল হোসেনের ছেলে ফজলু।
অপরদিকে অভিযুক্ত হলেন ঢাকা উত্তরের ট্রাফিক পুলিশের রেকার ড্রাইভার সোহেল রানা ও মোস্তফা।
ভুক্তভোগী ফজলু বলেন, “আমি পাকিজার সামনে থেকে রিকশা চালিয়ে গেন্ডার দিকে আসছিলাম। এসময় একটি মোটরসাইকেল করে দুই ট্রাফিক পুলিশ আমাকে ধাওয়া দেয়। পরে আমি গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের কাছে এসে রিকশা ব্রেক করি। এসময় মোটরসাইকেল থেকে ট্রাফিক পুলিশ নেমে আমার বাম পায়ে লোহার রড় দিয়ে আঘাত করে। পরে আমাকে লোহার পাইপ দিয়ে পায়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। কিন্তু আমি হাত দিয়ে ঠেকাতে চেষ্টা করি, কিন্তু পারিনি। পরে আমি সড়কে পড়ে যাই। সেখান থেকে আর দাঁড়াতে পারছিলাম না। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আমাকে মারধর করা থামায় ট্রাফিক পুলিশ । এরপরে আমাকে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
রুবেল নামে অপর এক রিকশাচালক অভিযোগ করে বলেন, “ট্রাফিক পুলিশরা সকাল থেকেই টাকার জন্য রিকশা ধরে। তাদের রিকশা ধরলেই দুই হাজার টাকা করে দিতে হয়। আর যদি কেউ টাকা না দেয় বিভিন্ন ভোগান্তি শিকার হতে হয়। এর জন্য আমরা আজকে সড়কে প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের বাঁধা দিয়েছে।”
এ বিষয়ে রেকারচালক মোস্তফা বলেন, “আজ আমার ডিউটি ছিল না। আমি এ মারামারির বিষয়ে কিছু জানি না। বর্তমানে আমি স্যারের সঙ্গে রয়েছি, পরে কথা বলব।”
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রিকশাচালকদের রাস্তা থেকে সড়িয়ে নিয়েছে। বিস্তারিত ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন জানেন।
ঢাকা উত্তরের ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন হোসেন শহীদ চৌধুরীকে একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।