দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন সংকট নয়, অটোমিল মালিকদের কারসাজিতেই নিয়ন্ত্রণ নেই চালের বাজারে। মিল মালিকদের দাবি, ধান সংকট ও ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।
যশোরে ঈদের আগে বাসমতি চাল বিক্রি হয় ৭৪ টাকা কেজিতে। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৮৪ টাকা। এ ছাড়া প্রকারভেদে ২ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মিনিকেট, আটাশ, কাজললতা, স্বর্ণাসহ বিভিন্ন চালের দাম।
কৃষি বিভাগের হিসাবে, গত মৌসুমে যশোরে ১১ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত। চালের দাম বৃদ্ধির জন্য অটোমিল মালিকদের কারসাজিকে দুষছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মীর বদরুল আলম বলেন, “এখন ধানটা তারা (অটোমিল মালিকেরা) বেশি দাম দিয়ে কালেকশন করবে। এরপর তাদের নিয়ন্ত্রণে যখন ধানটা চলে আসবে তখন আরও বেশি মুনাফা রেখে বিক্রি করবে।"
কোনো কারণ ছাড়াই কুষ্টিয়াতে মিনিকেটসহ সব চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এখনই মজুতদারদের লাগাম টেনে ধরা জরুরি।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জয়পুরহাটে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
নওগাঁর বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা ৫০ টাকা থেকে ৫৩, কাটারি ৬০ থেকে ৬৪ এবং জিরা ৬০ থেকে বেড়ে ৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, ঈদের আগে ও পরে মিল কারখানা বন্ধ থাকা এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে।
দিনাজপুরের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিলগেটে ৫০ কেজির প্রতিবস্তা চাল দেড়শ থেকে দু’শ টাকা বেশিতে কিনতে হচ্ছে। অথচ এবার জেলায় ৮ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত রয়েছে।