• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্লাস্ট রোগে নষ্ট হচ্ছে ধান, ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষক


গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৩, ০৬:৪৪ পিএম
ব্লাস্ট রোগে নষ্ট হচ্ছে ধান, ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষক

গাইবান্ধায় বোরো মৌসুমে ফলন ভালো হলেও ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধান। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ করেই এ রোগের আক্রমণে বিঘার পর বিঘা ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে সঠিক সময়ে কৃষি বিভাগ থেকে কোনো পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাজলা গ্রামের কৃষক সোহাগ মিয়া বলেন, এবার খরচের অর্ধেক টাকাও উঠবে না। কারণ জমিতে পাকা ধান দেখা গেলেও হাতে নিলে দেখা যায় শুধু চিটা।”

একই গ্রামের আরেক কৃষক হইবর রহমান বলেন, “সার, বীজ, তেলসহ শ্রমিকের মজুরি বেশি দিয়ে ফসল করেছি। এবার ক্ষতি কী দিয়ে পূরণ করব বুঝে উঠতে পারছি না।“

সদর উপজেলার বাদিয়াখালী গ্রামের কৃষক রানা মিয়া বলেন, “কৃষি কর্মকর্তারা প্রথম থেকে যদি আমাদের পরামর্শ দিত, তাহলে এত বড় ক্ষতির মুখে আমরা পড়তাম না। আর আমরা কোনো কৃষকই এই রোগ সম্পর্কে জানতাম না। যেই মুহূর্তে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে নামছেন তার অনেক আগেই আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি।”

আরেক কৃষক এনসার আলী বলেন, “আমরা যে ইরি লাগাইছি। এরপর থেকে কোনো কৃষি অফিসার মাঠে আসেনি। পঁচারী (ব্লাস্ট) রোগের কারণে আমাদের যে ক্ষতিটা হয়েছে, ধান গাড়া থেকে কাটা পর্যন্ত ব্যাপক টাকার ক্ষতি হবে। অফিসাররা সঠিক সময়ে এসে আমাদের পরামর্শ দিলে এত বড় ক্ষতির মুখে আমরা পরতাম না। ক্ষতি হয়ে যাওয়ার পর কৃষি অফিসাররা লিফলেট হাতে দিচ্ছে। প্রচার করছে এগুলো করে কৃষকের লাভ হবে না। ওনাদের লাভের জন্য করছেন। এদিকে কৃষক মরে ভূত হোক।”

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, “কৃষকদের সঠিক সময়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের সবসময় নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ধানের ব্লাস্ট রোগটি ব্যতিক্রম হয়েছে। আটাশ ধানটিতে এ রোগ বেশি ক্ষতি করছে। অনেক সময় কৃষকেরা ফসল লাগানোর সময় আমাদের পরামর্শ নেন না। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।” 

Link copied!