শেরপুরের নকলার দুটি ইউনিয়নে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। কোনো ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল নিতে পারছেন ক্রেতারা।
মোবাইল অ্যাপে চাল বিতরণের সুফল পেতে, শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ভোক্তাদেরও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ।
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনেক সময় অনিয়ম করে, একজনের পরিবর্তে অন্যজন চাল সহায়তা নিতেন। এতে বঞ্চিত হতেন প্রকৃত সুবিধাভোগী। তবে সে জটিলতা নিরসনে এবার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে চাল।
শেরপুরের নকলার দুটি ইউনিয়নে ডিলার থেকে মোবাইল ফোনে অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডধারীর আঙুলের ছাপ ও ওটিপি কোডের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে সুবিধাভোগীকে। এরপর তিনি পাচ্ছেন সহায়তার চাল। এতে ভোগান্তি ছাড়াই কম দামে সরকারের ভর্তুকি মূল্যে চাল নিতে পেরে খুশি সুবিধাভোগীরা।
তারা বলেন, ঝামেলা ছাড়াই সহজে চাল কেনা যাচ্ছে। কোনো ভোগান্তি নেই।
শেরপুরের নকলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত বলেন, সারা দেশে এই অ্যাপের মাধ্যমে চাল বিতরণ করা উচিত। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে দেশ।
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে চাল বিতরণ করায় ঝামেলাবিহীন ও দ্রুত সময়ের মধ্যে তা বিতরণ করা যাচ্ছে। তাই সারা দেশে এ পদ্ধতি চালু হলে ভোগান্তি কমবে বলে জানান ডিলার ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা।
শেরপুরের নকলার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই ও কম সময়ে চাল পাচ্ছেন ভোক্তারা। এ পদ্ধতি পর্যায়ক্রমে সারা দেশেই চালু করা প্রয়োজন।
শেরপুরে বছরের পাঁচ মাস দরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ১১২ জন ডিলারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে নকলা উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ৪ জন ডিলার মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করছেন।