• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বস্তি ফিরছে সেন্টমার্টিনে


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
স্বস্তি ফিরছে সেন্টমার্টিনে
সেন্টমার্টিন দ্বীপ। ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে বিকল্প পথে নৌযান চলাচলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনের যোগাযোগ। সেন্টমার্টিনে যাত্রী ও জরুরি পণ্য আনা-নেয়ার জন্য টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ হয়ে বিকল্প রুটে চলছে নৌযান।

শাহপরীরদ্বীপ থেকে জরুরি পণ্য ও কিছু সংখ্যক যাত্রী নিয়ে শনিবার (২২ জুন) সকালে সেন্টমার্টিন গেছে দুইটি ট্রলার। একই সঙ্গে রোগীসহ ১৫ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপে এসেছে দুইটি স্পিডবোট।

স্বাভাবিক রুটের ঝুঁকি আর আতঙ্ক এড়িয়ে বিকল্প রুটটিতে উত্তাল সাগর পাড়ি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ থাকলেও সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। আগের যে খাদ্যসংকট, নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম, উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কমে এসেছে।

স্বস্তি প্রকাশ করে দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেছেন, “কোস্টগার্ড, বিজিবি, নৌবাহিনীর সার্বিক নজরধারী ও নিরাপত্তায় দ্বীপে যাতায়াত স্বাভাবিক হচ্ছে। এতে এখনও কিছুটা আতঙ্ক থাকলেও স্বস্তিতে আছে দ্বীপবাসী।”

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, “বিকল্প পথটিতে উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে হয়। তাতে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। তারপরও দ্বীপের প্রয়োজনে এটা অনেক ভালো, মঙ্গলজনক।”

স্থানীয়রা সূত্রমতে, শনিবার সকালে শাহপরীরদ্বীপের বদরমোকাম এলাকা হয়ে যে দুইটি ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে সেগুলো বেলা ১২টার দিকে দ্বীপে পৌঁছেছে। ট্রলার দুইটিতে ৩০০ গ্যাস সিলিন্ডার, কিছু খাদ্যপণ্য ও ৩০-৪০ জন যাত্রী ছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুইটি ট্রলারে করে দ্বীপের ৩৫ শিক্ষার্থীসহ ৯২ জন যাত্রী শাহপরীরদ্বীপে নিরাপদে পৌঁছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সেন্টমার্টিনে উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে পুলিশের একটি দলসহ সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা ট্রলারের করে টেকনাফে ফিরছিলেন। সেসময় ট্রলারটিকে লক্ষ্য করে মিয়ানমারের ভেতর থেকে ২৫ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। সেই দিনের পর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে কেউ যাতায়াতের সাহস পাননি।

সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের কোনো বিকল্প পথ নেই। সেই ঘটনার পর গত ৮ জুন দুপুরে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী পণ্যবাহী আরেকটি ট্রলারে ৩০-৪০টি গুলিবর্ষণ করা হয়। তাতে কেউ হতাহত না হলেও ট্রলারটির বিভিন্ন স্থানে সাতটি গুলি লাগে। এ ঘটনার পর নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এমন পরিস্থিতিতে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েন সেন্টমার্টিনে বসবাসকারী ১০ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের জরুরি সভায় পরদিন বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে যাত্রী আসা-যাওয়া এবং পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Link copied!