• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২৪ শা'বান ১৪৪৬

৩ জনকে হত্যার পর এলাকাবাসীর ফোনে ‘শুধরে যাওয়ার বার্তা’


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫, ১১:৫২ এএম
৩ জনকে হত্যার পর এলাকাবাসীর ফোনে ‘শুধরে যাওয়ার বার্তা’

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় শীর্ষ চরমপন্থি নেতা হানিফসহ (৫০) তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন চরমপন্থিদের মধ্যে গোলাগুলিতে তারা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শসানঘান এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

নিহত হানিফ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা দৌলতপুর ইউনিয়নের আহদনগর (ঠকপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ ক্যাডার।

স্থানীয় সাংবাদিক চঞ্চল চৌধুরী বলেন, রাত ১০টার দিকে রামচন্দ্রপুর মাঠে হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হয়। গুলির শব্দ থামার পরে স্থানীয়রা সেচ খালের পাশে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ও জখম হওয়া মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মধ্যে হানিফ নামে এক শীর্ষ চরমপন্থী নেতার মরদেহ শনাক্ত করে। হানিফের বাড়ি হরিণাকুন্ডু। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক শীর্ষ ক্যাডার ও একাধিক হত্যা মামলার আসামি বলেও জানা গেছে।

ওই হত্যার পর বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠায় জাসদ গণবাহিনী। ওই ক্ষুদে বার্তায় লেখা আছে, ‘এতদ্বারা ঝিনাইদা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বাসির উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারি, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিনাকুন্ডু নিবাসী মো. হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। অত্র অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো, অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে- কালু জাসদ গণবাহিনী।”

শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, “গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শৈলকূপা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই এলাকাটি নির্জন। এর আগেও একই স্থানে চাঞ্চল্যকর ‘ফাইভ মার্ডার’ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।”

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইমরান জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ একজনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

জাসদ গণবাহিনীর নামে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এমন একটি বার্তা ইতোমধ্যে আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। কী কারণে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নই।”

Link copied!