কৃষিকাজ করেও যে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়, তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার রাসেল আহমেদ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মান লাভ করে রাসেল কয়েক বছর ধরে চাকরির জন্য ঘুরতে ঘুরতে যখন ক্লান্ত, ঠিক তখনি নিজ এলাকার এক বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ৪০ শতক জমি বর্গা নিয়ে টমেটো চাষ করে সাফল্য পান।
জেলার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের পানিপাড়া গ্রামে মাঠজুড়ে দৃষ্টিনন্দন টমেটো ক্ষেত তার। সারিবদ্ধ টমেটো গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত থোকা থোকা টমেটো ধরে আছে। অনেকেই আবার তার টমেটো ক্ষেত দেখতে আসছেন।
ক্ষেতে দাঁড়িয়ে কথা হয় টমেটো চাষি রাসেল আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমার কোনো আবাদি জমি নেই। করোনার সময় মায়ের দেওয়া ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ৪০ শতক জমি বর্গা নিয়ে প্রথম টমেটো চাষ শুরু করি। প্রথম বছর ১ লাখ টাকা বিক্রি করে লাভ হয় ৬০ হাজার টাকা।”
রাসেল আরও জানান, ২০২২ সালে তিনি দ্বিগুণ লাভ করেন। চলতি বছরে তিনগুণ লাভ করেন। এ বছর তিনি ৫০ একর জমিতে আগাম জাতের টমেটো চাষ করেছেন। আড়ৎদারদের কাছে প্রতি কেজি টমেটো এখন গড়ে ২৫/৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এ বছর খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে বাজারজাতকরণ শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। তি
কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, পরিশ্রম দিয়ে যে কেউ নিজের ভাগ্য বদলাতে পারে রাসেল তারই প্রমাণ। চাষিরা যাতে আগাম সবজি চাষ করে লাভবান হতে পারেন সেজন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রচারণা চালানো হয়।