নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বন্ধুকে ছাত্রলীগ তকমা দিয়ে তার প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে। এ ঘটনার পর ছাত্রদল থেকে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি উপজেলার চন্ডিগড় গ্রামের মজিুবুর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর পৌর শহরের বিরিশিরি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘নেত্রকোনা শহরের ওই ছাত্রী রাজধানীর একটি কলেজে সম্মান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা ও জেলা শহরের একটি কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি উভয়ের পরিবারের সিদ্ধান্তে তাদের মধ্যে বিয়ে ঠিকঠাক হয়। এ অবস্থায় তারা সোমবারে দুর্গাপুরে ঘুরতে যায়।’
ওসি আরও বলেন, ‘ছাত্রীর প্রেমিক ও হবু স্বামীর সঙ্গে ছাত্রদল নেতা ফয়সাল আহমেদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। তারা ফয়সালের কথামতো বিরিশিরিতে একটি হোটেলে ওঠে। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে কলেজছাত্রীকে হোটেলে রেখে খাবার কিনতে যান হবু স্বামী। এ সুযোগে ছাত্রদল নেতা ফয়সাল পুলিশকে ফোনকল করে তার বন্ধুকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত দাবি করে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে বলেন। তখন পুলিশ ওই ছাত্রকে আটক করে। আটক হওয়ার পর ওই ছাত্র পুলিশকে জানান তার হবু স্ত্রী হোটেলের কক্ষে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন।’
ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, ‘ওই ছাত্রকে আটকের সময়ই তার হবু স্ত্রীর কক্ষে ঢুকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন ছাত্রদল নেতা ফয়সাল। পুলিশ ওই ছাত্রকে নিয়ে হোটেলের কক্ষে গেলে দরজা বন্ধ অবস্থায় ছাত্রীর চিৎকার শুনে অভিযান চালায়। এ সময় ছাত্রীকে উদ্ধারসহ ছাত্রদল নেতা ফয়সাল আহমদকে আটক করা হয়। সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা সময়ের মধ্যে পুরো ঘটনা হয়েছে।’
ওসি জানান, এ ঘটনায় ছাত্রীটি বাদী হয়ে ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় ফয়সাল আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ফয়সাল আহমাদকে বুধবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ছাড়া মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।