উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। সেই সঙ্গে হিমালয় থেকে আসা হিমেল হাওয়া ও হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, লঘুচাপের কারণে আকাশে মেঘ থাকায় কুয়াশার উপস্থিতি বাড়ছে। সেই সঙ্গে ধেয়ে আসা শীতল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। লঘুচাপ সরে গেলে তাপমাত্রা আরও নিম্নগামী হয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
হিমালয়ের নিকটবর্তী সীমান্তঘেঁষা এ জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় শীতের তীব্রতাও এখানে বেশি থাকে। শীতের স্থায়িত্বও থাকে বেশি দিন।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জেলার জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষরা।
জেলা সদরের হলোখানা ইউনিয়নের ফরিদ বলেন, “তীব্র শীতের কারণে ৪-৫ দিন ধরে ট্রলি চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। ঠান্ডা বাতাস কাপড় ভেদ শরীরে লাগে। ঠান্ডার কারণে আয়ও কমে গেছে।”
পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক নূরুল বলেন, “ঠান্ডায় হাত পা অবশ হওয়ার মতো অবস্থা। জমিতে হিম জমে থাকায় কাজ করা খুবই অসুবিধা হচ্ছে। শীত বস্ত্রের অভাবে খুবই কষ্টে আছি।”
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শীতার্তদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দের ২৭ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।