আন্তঃনগর সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও রেলপথে আমদানিকৃত পণ্য খালাসের দাবিতে দিনাজপুরের হিলিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় হিলি রেলওয়ে স্টেশনে তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে অবরোধ করেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। পরে খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও স্টেশনে অবরোধের মুখে পড়ে। তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায় ও রেলওয়ে শান্তাহার জংশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান। পরে আগামী ২০ দিনের মধ্যে যাতাবিরতি দেওয়া হবে এমন আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হিলি রেলওয়ে স্টেশনের ওপর দিয়ে ঢাকা-পঞ্চগড়-রংপুর-চিলাহাটিগামী প্রায় ১৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এগুলোর মধ্যে শুধু রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রাবিরতি করে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নবম শ্রেণির ছাত্রী রাফছানা আনজুম বলেন, “হিলি দেশের অন্যতম বৃহৎ স্থলবন্দর। হিলি পোর্ট ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষ ভারতে চিকিৎসা, ব্যবসা, ভ্রমণের জন্য যান। কিন্তু এখানে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন থামে না। যে কারণে বিরামপুর স্টেশনটি ব্যবহার করতে হয়। তাই ঐতিহ্যবাহী এই স্টেশনে পুনরায় আন্তঃনগর সব ট্রেন যাত্রাবিরতি করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, “১৮৪৫ সালে হিলি স্টেশনকে কেন্দ্র করে আজকের হিলি স্থলবন্দর গড়ে ওঠে। কিন্তু ২০০৮ সালের দিকে হঠাৎ করে আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি বাতিল করে। ফলে ব্যবসায়ীদের ট্রেনে ভারতীয় পণ্য আপলোডের জন্য বিরামপুর অথবা পাঁচবিবি স্টেশনে ব্যবহার করতে হয়। এতে একদিকে সময় অপচয় হয়, অন্যদিকে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই দ্রুত আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
সান্তাহার স্টেশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান জানান, আগামীতে রেলের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। সেই সময় যাত্রাবিরতির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।