রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি।
শুক্রবার (২ জুন) সকাল ১০টায় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন।
দেলোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার সকাল থেকে ১৬২ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছেন দলীয় নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম ফারকী পেয়েছেন হাতপাখা এবং জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার পেয়েছেন গোলাপ ফুল। এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে বেধে দেওয়া প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মেয়র পদে নৌকা প্রতীক গ্রহণের পর খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী একটি দল। নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিকাশ। নির্বাচন এলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত আনন্দিত ও খুশি হয়। সারা দেশের মানুষকে নিয়ে একটি আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আজকে নির্বাচনে প্রতীক নিলাম, এটার মাধ্যমে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হবে। আমি খুবই আশাবাদী এই নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করব ইনশাল্লাহ।”
এ সময় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাইমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু ও মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের জ্যৈষ্ঠ কন্যা ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নগরীর সিএন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।