টাঙ্গাইলে পুরোদমে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে শীতের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তীব্র এই শীতের কারণে বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বয়ষ্করা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম।
সকালে ঘনকুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করেছে। দুপুরের দিকে জেলার কোথাও কোথাও সামান্য সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও ঠান্ডার মাত্রা কমেনি। ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ঘন কুয়াশা, তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষের জীবন। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে-খাওয়া মানুষ। তবে জীবন-জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন তারা।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক কামরুল মিয়া বলেন, “ঠান্ডায় গাড়ি চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। তবুও পেটের দায়ে রাস্তায় বের হয়েছি। বসে থাকলে তো আর পেটে ভাত যাবে না।”
টাঙ্গাইল জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, “কয়েকদিন ধরে টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা কমেছে। সোমবার টাঙ্গাইলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছরের মধ্যে সর্বোনিম্ন। আরও কয়েক দিন এ রকম থাকতে পারে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক বলেন, জেলার ১ হাজার ৬২৩ টি বিদ্যালয়ে ৪ লাখ ৩২ হাজার ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে। শীতে কোমলমতি শিশুরাই বেশি কষ্ট পায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ছুটি আরও বাড়তে পারে।
টাঙ্গাইলের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সুজাউদ্দিন তালুকদার বলেন, হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা। কারণ তাদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এ ধরনের তাপমাত্রায় ঠান্ডাজনিত রোগে মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে। তাই সবাইকে বিশেষ কেয়ারে থাকতে হবে। সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, “তীব্র শীতের মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।