• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নড়াইলে কালচারাল অফিসারের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ


নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
নড়াইলে কালচারাল অফিসারের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার হামিদুর রহমানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা, দ্রুত অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে কালচারাল অফিসারের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলুর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীমূল ইসলাম টুলু, মূর্ছনা সংগীত নিকেতনের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত সরকার, নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত বিভাগের শিক্ষক নিরঞ্জন বিশ্বাস, আশিষ কুমার স্বপন প্রমুখ।

এসময় বিক্ষোভকারীরা দুর্নীতিবাজ কালচারাল অফিসার হামিদুরের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, দুর্নীতি আর করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না, হামিদুরে কালোহাত ভেঙে দাওসহ নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

বক্তরা বলেন, “শিল্প ও সংস্কৃতির জেলা নড়াইলে এ ধরনের ঘৃণ্য ন্যাক্কারজনক ঘটনা কখনো ঘটেনি। গত এক বছরে এই দুর্নীতিবাজ অফিসার বিভিন্ন অনুষ্ঠান, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা,অডিটোরিয়াম সংস্কারের নামে প্রায় ৫০ লাখ টাকার দুর্নীতি করেছে। শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষক-কর্মচারিদের অপমান ও শিল্পকলা থেকে বের করে দিয়েছে। গত ১০ দিন শিল্পকলা একাডেমিতে কোনো ক্লাস হয় না।”

বক্তরা আরও বলেন, “এর আগে ময়মনসিংহ, চুয়াডাঙ্গা জেলায় দুর্নীতির কারণে তাকে তাড়ানো হয়েছে। এই আন্দোলন একটি প্রগতিশীল সমাজকে বাঁচানোর আন্দোলন। এই স্বেচ্ছাচারি দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে একদিনও দেখতে চাই না আমরা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে নড়াইল থেকে অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে শিল্পকলা একাডেমি তালা মেরে দেওয়া হবে।”

বিক্ষোভ শেষে সাংস্কৃতিক কর্মীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এরপর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “সম্প্রতি তার (কালচালাল অফিসার) বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সংস্কৃতিবিষয়ক সচিবের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।”

এ বিষয়ে জেলা কালচারাল অফিসার মো. হামিদুর রহমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, “আমাকে অপসারণের জন্য একটি কুচক্রিমহল উঠেপড়ে লেগেছে।”

Link copied!