• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল রহমান ওরফে ইজাজকে (২২) গুলি করে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও পুত্তলিকা দাহ করেছেন স্বজন ও বন্ধুরা।

শনিবার (২৯ জুন) বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভন, যুবনেতা মোহন, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজহার উদ্দিন মিঠু, ছাত্রলীগ নেতা সামি আহমেদ নাবিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের হোসেন শ্রাবণসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ভূইয়া।

সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নবনির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন বলেন, “উপজেলা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি মহলের ইশারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের মেধাবী ছাত্র, ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফ রহমান ইজাজকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গত ২১ দিন ধরে মামলার প্রধান আসামি জালাল হোসেন খোকাসহ আর কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। জালাল হোসেন খোকাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

নিহত আশরাফুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কলেজপাড়ার আমিনুর রহমানের ছেলে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী এবং সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ওরফে শোভনের (আনারস প্রতীক) পক্ষের কর্মী ছিলেন।

চতুর্থ ধাপে বুধবার (৫ জুন) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা আনন্দমিছিল বের করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জেলা শহরের কলেজপাড়ায় ওই মিছিলে গুলি করা হয়। এতে মিছিলে থাকা ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। মিছিলে থাকা ছাত্রলীগের অপর একটি পক্ষ এই গুলি চালায়।

এ ঘটনায় সাবেক ভিপি জালাল হোসেন খোকাকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। গত ৮ জুন হত্যাকারী হাসান আল ফারাবী জয়কে নেত্রকোনা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতের জবানবন্দিতে জালাল হোসেন খোকার নির্দেশে এজাজকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন জয়। তবে ঘটনার ২১ দিন পার হলেও জালার হোসেন খোকাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

Link copied!