• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভিয়েতনামি নারকেল চাষে প্রসেনজিতের সাফল্য


রিকোর্স চাকমা, রাঙ্গামাটি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৮:৩৪ এএম
ভিয়েতনামি নারকেল চাষে প্রসেনজিতের সাফল্য

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের দোখাইয়া পাড়ায় কাপ্তাই হ্রদের এক দ্বীপে জেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভিয়েতনামি নারকেল চাষে সাফল্য পেয়েছেন প্রসেনজিৎ চাকমা। ২০১৭ সালে সরকারিভাবে ভিয়েতনাম থেকে আনা ৩০০ নারকেল চারা সংগ্রহ করে নিজের পরিত্যক্ত জমিতে চারাগুলো রোপণ করেন তিনি। ইতিমধ্যে নারকেলগাছে ৬০-৭০ শতাংশ ফলন আসা শুরু হয়েছে।

নারকেলবাগান রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা লক্ষ্মী বিকাশ চাকমা বলেন, “আমি দেড় বছর ধরে এ বাগান দেখাশোনার কাজ করছি। বাগানে প্রথম পর্যায়ে ফলন একটু কম ছিল। ধীরে ধীরে ফলন বাড়ছে। পাইকারি দরে আকারভেদে একটি ডাব ৭০ থেকে ১০০ টাকা করে বিক্রি করছি। বাগানে এখন নারকেল ৭০ শতাংশ ফলন এসেছে।”

বাগানের মালিক প্রসেনজিৎ চাকমা বলেন, “আমি একবার ভিয়েতনাম গিয়ে সেখানকার নারকেল খেয়েছি। সেগুলো অনেক সুস্বাদু। পরে জানালাম, সরকারিভাবে ভিয়েতনামি নারকেল চারা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। তখন আমি ৩০০ চারা সংগ্রহ করে জমিতে লাগিয়েছি।”

প্রসেনজিৎ আরও বলেন, “আমরা কিছু চারা নার্সারি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং ইতিমধ্যে কিছু চারার অর্ডারও পেয়েছি। আমি চাই আমার বাগান দেখে অন্যরাও এই বাগান করুক।”

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শান্তিময় চাকমা বলেন, “বাগানে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ গাছে ফলন আসা শুরু হয়েছে।  এই ওপি জাতের নারকেলটি এখানে হওয়ার কারণে আমরা নিশ্চিত এখানে বীজ এবং ফলন পাবো।”

রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, “মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে কৃষকরা যদি ভিয়েতনামি নারকেলবাগান করেন তাহলে যথেষ্ট লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।”

Link copied!