• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে উৎপাদন বেড়েছে আড়াই গুণ


নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৪, ০২:৪১ পিএম
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে উৎপাদন বেড়েছে আড়াই গুণ

নাটোরের লালপুর উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস লিমিটেডের চিনি উৎপাদন গত বছরের চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশের সরকারি চিনিকলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) অর্জনও করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। তবে আখ মাড়াই সমাপ্তির ১৩ দিনেও আয় ও ব্যায়ের হিসাব চুড়ান্ত করতে পারেননি চিনিকল সংশ্লিষ্টরা।

চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমে ১১৪ দিনে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে গত ৩ মার্চ শেষ করে চিনিকলটি। এতে ৫.৬৮ শতাংশ হারে ১০ হাজার ৫২৫ মেট্রিন টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ বেশি। আর এ বছর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ছিল ১০৩ দিনে ১ লাখ ৭০ হাজার টন আখ মাড়াই করে ১১ হাজার ৭৩০ টন চিনি উৎপাদন করা। যা সরকারি চিনিকলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র এই চিনিকলটিই অর্জন করেছে। আর গত মৌসুমে আখ সংকটে মাত্র ৮১ হাজার ৮২৯ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৪০৭ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করেছিল।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, সারা দেশে সর্বমোট নয়টি সরকারি চিনিকলে উৎপাদিত চিনির মধ্যে শুধু এই চিনিকল থেকেই আখ ক্রাশিং ৩০ শতাংশ এবং ৩৪ শতাংশ চিনি উৎপাদন করা হয়েছে। আখের মূল্যবৃদ্ধি ও মিলজোন এলাকায় অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারে আখ মাড়াই জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে শতভাগ বন্ধ রাখায় এ সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

এ বিষয়ে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আসহাব উদ্দিন বলেন, “গত ১০ বছরের ইতিহাসে এ বছরই প্রথম একর প্রতি প্রায় ১০ মেট্রিক টন আখ মিলের কারখানায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। আগামী মাড়াই মৌসুমের জন্য মিল এলাকায় ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ রোপন করা হয়েছে। আশা করি আগামী আখ মাড়াই মৌসুমেও চিনিকলে আখ সংকট থাকবে না।”

মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খবির উদ্দিন মোল্যা বলেন, “দেশের ৯টি চিনিকলে যে চিনি উৎপাদন হয়েছে তার ৩৪ ভাগ চিনি উৎপাদন হয়েছে এই চিনিকলে। মিল এলাকায় অবৈধ পাওয়ার ক্রাশার বন্ধে প্রশাসন, আখচাষিসহ সকলের সহযোগিতা ও চিনিকলের সকল কর্মকর্তা শ্রমিক-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দীর্ঘদিন পর ভালো অবস্থানে এসেছে চিনিকলটি। তবে কী পরিমাণ লাভ হবে তা চূড়ান্ত হিসাব না করে বলা সম্ভব নয়।”

Link copied!