• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আবেদ আলীর সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতেন প্রিয়নাথ


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম
আবেদ আলীর সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতেন প্রিয়নাথ
প্রিয়নাথ রায়।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের নাটের গুরুদের একজন আবেদ আলীর দোসর ঠাকুরগাঁওয়ের প্রিয়নাথ রায়। চাকরি দেওয়ার শর্তে একেকজনের সঙ্গে চুক্তি করতেন ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। নিজের এলাকায় তেমন সম্পদ না থাকলেও দিনাজপুর ও ঢাকা খোঁজ পাওয়া গেছে তার বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পত্তির।

সম্প্রতি বিসিএসসহ পিএসসির বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। এর মধ্যে রয়েছেন পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলী। এই আবেদ আলীর কাছে চাকরিপ্রার্থীদের যোগাযোগ করিয়ে দিতেন প্রিয়নাথ।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আবেদ আলী বলেছেন, প্রিয়নাথ রায় চাকরিপ্রার্থীদের তার কাছে পৌঁছে দিতেন। চুক্তি হতো ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়, অগ্রিম নেওয়া হতো ২ থেকে ৫ লাখ টাকা। হতো সেই বিপুল অর্থের ভাগবাটোয়ারা।

কে এই প্রিয়নাথ রায়

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের রাইতু রায় ও রাজবালা দম্পতির সন্তান প্রিয়নাথ। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা প্রিয়নাথ এসএসসি পরীক্ষার সময় হারান বাবাকে। এইচএসসির পরে বন বিভাগে চাকরি নেন। ডিগ্রি পাস করে সেনাবাহিনীর অডিটর পদে যোগ দেন। এ সময় জড়িয়ে পড়েন প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে। চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন প্রিয়নাথ। জড়িয়েছেন মামলায়ও। মামলার পর থেকে তাকে গ্রামে আসতে দেখেননি পড়শিরা।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব বলেন, “তারা সবাই বাইরে থাকে। এখানে ওর মা ছাড়া কেউ থাকে না। শুধু শুনেছি চাকরি দেওয়ার নামে সে টাকা নিত। পুলিশও এসেছে অনেকবার। কিন্তু সে অনেকদিন ধরে বাড়িতে আসেনি।”

গ্রামের বাড়িতে একা থাকেন প্রিয়নাথের মা রাজবালা। দুই সন্তান ও স্ত্রী থাকেন দিনাজপুরের বাড়িতে। অপকর্মে ছেলের জড়িয়ে পড়ায় রাজবালা দায়ী করলেন পুত্রবধূকে। প্রিয়নাথের মা রাজবালা বলেন, “আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। তার বউয়ের পরামর্শে সে চলে। আমি আমার ছেলের মুক্তি চাই।”

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় রয়েছে প্রিয়নাথের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সে বাড়িতে আসে না।

Link copied!