• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হাওর ভ্রমণে প্রশাসনের যেসব নীতিমালা মানতে হবে


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৩, ১০:০৫ এএম
হাওর ভ্রমণে প্রশাসনের যেসব নীতিমালা মানতে হবে

হাওরের সম্পদ, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সর্বোপরি পর্যটকদের নিরাপত্তার লক্ষ্যে দর্শনার্থীদের যত্রতত্র ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে।

দর্শনার্থীদের অপরিকল্পিত ও আকস্মিক ভ্রমণ হাওরের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ বিনষ্ট করায় জেলা প্রশাসন যেসব নীতিমালা তৈরি করেছে, তা বাস্তবায়ন হলে হাওরের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা পাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

যেসব নীতিমালা মেনে চলতে হবে

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো পর্যটকবাহী জলযানকে হাওরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। হাওরে অবস্থানকালীন সময় জলযানে পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানীয় মজুত নিশ্চিত থাকতে হবে। হাওরে পরিবেশ, অক্ষুণ্ণ রেখে নিয়ন্ত্রিত আকারে ভ্রমণ করতে হবে।

তাহিরপুর উপজেলার ট্যাকেরঘাট এলাকা ছাড়া অন্য এলাকায় নৌকায় রাত্রিযাপন করার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করতে হবে। পর্যটকবাহী জলযানে রান্নার জন্য ব্যবহার্য গ্যাস সিলিন্ডার বহন করা যাবে না।

সংরক্ষিত এলাকায় বিভিন্ন প্রাণীর অবাধ বিচরণ, প্রজনন, বংশবৃদ্ধি ও নিরাপত্তা প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। এ ছাড়া বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম নিশ্চিতকরণ এবং পর্যটকদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করতে হবে।

ভ্রমণকালে আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো হাতিয়ার, ফাঁদ, বিষ ইত্যাদি কোনো অবস্থাতেই বহন করা যাবে না এবং মাছ শিকার বা ধরার সহায়ক কোনো সরঞ্জাম বহন করা যাবে না। হাওরে ভ্রমণের জন্য পর্যটক, ট্যুর অপারেটর এবং সংশ্লিষ্ট সবার সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব নির্ধারণ করতে হবে।

অন্যান্য ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই দিন এক রাত পর্যটকরা হাওরে অবস্থান করতে পারবে। হাওরে জীববৈচিত্র্য সংকটাপন্ন হতে পারে কিংবা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির সৃষ্টি হতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ড বা আচরণ করা যাবে না। অবকাঠামো ও উপরিকাঠামো প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে হবে।

যেকোনো অসামাজিক কর্মকাণ্ড কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কোনো ধরনের বিবাদে লিপ্ত হওয়া যাবে না। স্থানীয় মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।

সীমান্তবর্তী পর্যটন স্পটসমূহে পর্যকটরা কোনোভাবেই সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করতে পারবে না। ভ্রমণের আগে প্রত্যেক পর্যটকের পরিচয়সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য একটি ফরমে স্থানীয় প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জমা জিতে হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, “হাওরের নির্জনতা বজায় রাখতে সহায়তা করতে হবে। ভ্রমণকালে উচ্চ শব্দযন্ত্র বহন করা যাবে না। ভ্রমণকালে প্রচলিত আইন, বিধি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। হাওরে ভ্রমণকালে বর্জ্য কোনোভাবেই হাওরের পানিতে ফেলা যাবে না। হাউস বোটে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেফটিক ট্যাংক সরবরাহ রাখতে হবে।”

Link copied!