বগুড়ায় কিছুটা কমেছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। শুল্ক কমিয়ে আমদানির খবরে দুই দিনের ব্যবধানে আলু ৫ টাকা ও পেঁয়াজের কেজিতে দাম কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যাপ্ত মজুতের পরও রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সিন্ডিকেটের কারণে দাম বেশি। বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি জোরদার করার দাবি জানিয়েছে প্রশাসন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ঘিরে অস্থিরতা ও সিন্ডিকেটের কারণে বগুড়ায় অস্বাভাবিক ছিল আলু ও পেঁয়াজের দাম। মৌসুমের শুরুতে ৩৫ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হলেও পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। একই চিত্র পেঁয়াজের বাজারেও।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুল্ক কমিয়ে আলু আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। এতে দুই দিনের মধ্যে কেজিতে ৫ টাকা কমে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। আর ১০ টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে পারলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
ক্রেতারা বলছেন, আমদানি বাড়লে আলু ও পেঁয়াজের দাম আরও কমবে। বাজারে সুষ্ঠু তদারকি প্রয়োজন।
বাজার তদারকি প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা প্রশাসক মেজবাউল করিম বলেন, হিমাগারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দুই-একদিনের মধ্যে তদারকি জোরদার করা হবে।
বগুড়ায় সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিকটন ধারণক্ষমতার ৪২টি হিমাগারে এখনও মজুত আছে ২ লাখ ৪২ মেট্রিকটন আলু।