কক্সবাজারের টেকনাফ দিয়ে সাগরপথে রোহিঙ্গাদের ‘মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে’ জড়ো করার সময় পাঁচ দালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ৬১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১১ জন নারী ও ৩৭ জন শিশু।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে টেকনাফ উপজেলার বাহার ছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে দালালদের গ্রেপ্তার ও রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়।
এসময় দালালদের কাছ থেকে ৪টি রাইফেলের গুলি, ১টি রামদা ও ১টি কিরিচ জব্দ করা হয়েছে।
আটক দালালরা হলেন- টেকনাফ পৌরসভার শিলবনিয়া পাড়ার আব্দু শুক্কুরের ছেলে মো. রাশেদ (২৫), বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার সুলতান আহাম্মদের ছেলে সালেহ আহাম্মদ (৩৫) ও তার ভাই নুরুল কবির (২৭), একই এলাকার রসিদ আহাম্মদের ছেলে সৈয়দ আলম (২৪) এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে কামরুল ইসলাম ওরফে মো. শিপন (৩২)।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার ভোরে টেকনাফে সমুদ্র উপকূলে বাহারছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ি এলাকায় আব্দুল আমিনের বসত ঘরে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে কিছু সংখ্যক লোকজনকে জড়ো করার খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্দেহজনক বসত ঘরটি ঘিরে ফেললে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০-১৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়।
এসময় ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। আটকদের কাছ থেকে ৪টি রাইফেলের গুলি, ১টি রামদা ও ১টি কিরিচ পাওয়া যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে জড়ো করা নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৬১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা।
ওসি আরও জানান, আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।