• ঢাকা
  • বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত কবি মাকিদ হায়দার


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম
বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত কবি মাকিদ হায়দার

পাবনায় মা-বাবার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য কবি মাকিদ হায়দার। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে জেলা সদরের আরিফপুরের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ৮টায় কবরস্থান সংলগ্ন মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (১০ জুলাই) সকালে ঢাকার উত্তরার বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাকিদ হায়দার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি উচ্চ ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত কিছু জটিলতায় ভুগছিলেন। কিছুদিন আগেও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে খানিকটা সুস্থ হলে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। মাকিদ হায়দার স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।  

জানা যায়, ১৯৪৭ সালে পাবনা সদরের আরিফপুর দোহারপাড়া গ্রামে জন্ম মাকিদ হায়দারের। বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ এ কবির রচনার মধ্যে রয়েছে ‘রোদে ভিজে বাড়ি ফেরা’, ‘আপন আঁধারে একদিন’, ‘রবীন্দ্রনাথ: নদীগুলা’, ‘বাংলাদেশের প্রেমের কবিতা’, ‘যে আমাকে দুঃখ দিলো সে যেনো আজ সুখে থাকে’, ‘কফিনের লোকটা’, ‘ও প্রার্থ ও প্রতিম’, ‘প্রিয় রোকানালী’ ও ‘মমুর সাথে সারা দুপুর’। ২০১৯ সালে কবিতায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান মাকিদ হায়দার। এছাড়া তিনি পেয়েছেন দেশের উল্লেখযোগ্য অনেক সাহিত্য পুরস্কার।  

তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাংলা ভাষা সাহিত্যে রেখেছেন বিশেষ অবদান। মাকিদ হায়দারের ভাই রশীদ হায়দার, জিয়া হায়দার, দাউদ হায়দার, জাহিদ হায়দার, আবিদ হায়দার ও আরিফ হায়দার।

কবি মাকিদ হায়দার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি গণসংযোগ ও গণমাধ্যম বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন ফিলিপাইনের ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। তার পরিবারের প্রত্যেকেই বাংলা ভাষায় প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক ও স্বনামে খ্যাতিমান। মাকিদ হায়দারের সাহিত্যচর্চার শুরু ছড়া দিয়ে। গল্প ও নাটক লিখলেও শেষ পর্যন্ত থিতু হন কাব্যচর্চায়। 

Link copied!