বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে টাঙ্গাইলে নারী উদ্যোক্তাদের তিন দিনব্যাপী শুরু হয়েছে গ্রাম বাংলার ‘পিঠা উৎসব’। পিঠা উৎসবে স্টলে স্টলে শোভা পাচ্ছে বাঙালি ঐতিহ্যের নানা রকম পিঠা। উৎসবে হৈহুল্লার ও আড্ডায় মেতে ওঠেন অনেকেই। আশপাশের সাধারণ মানুষ এই উৎসব উপভোগ করেন। পিঠা ছাড়াও হস্তশিল্পসহ নানা সামগ্রী মেলায় বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে শহরের টাঙ্গাইল ক্লাব প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী এই পিঠা উৎসসের আয়োজন করা হয়। দুপুরে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এই পিঠা উৎসব।
মেলায় শুধু পিঠা নয় নারীদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী স্থান পেয়েছে। পিঠা উৎসবে জামাই পিঠা, বুটের হালুয়া, মুখশালা পিঠা, লাচ্ছি বড়া, পাটিসাপটা পিঠা, নকশি পিঠা, ডিমের পাকড়া, ডিম পিঠা, মাংস পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা রয়েছে।
নারী উদ্যোক্তা আশা আক্তার বলেন, “আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে এসেছি। এসব পিঠা আমরা বাসায় নিজের হাতে তৈরি করেছি। ঝাল-মিষ্টি সব ধরনের পিঠা আমাদের কাছে পাওয়া যাবে। আয়োজকদের কাছে দাবি প্রতি বছর যাতে এ ধরনের পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।”
ক্রেতা সুমাইয়া আক্তার বলেন, “শীতের সময় গ্রাম বাংলা পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। প্রতি বছরই এমন আয়োজন হলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফুটে উঠবে। সব সময়ই যদি এমন আয়োজন করা হয় তাহলে হারানো সেই পিঠাপুলির উৎসব ফিরে পাব।”
টাঙ্গাইল উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক জেরিন মাহমুদ শম বলেন, “হারিয়ে যাওয়া বাঙালীর পিঠা পুলির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া অনেক পিঠাই এখানে পাওয়া যাচ্ছে। শুরুতেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ভবিষ্যতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।”
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান বলেন, “নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করা হবে। এতে জেলার অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হবে।”